ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের নলকূপ স্থাপনের জন্য মাটি খুঁড়ার সময় মাটির হাঁড়িতে প্রাচীন রৌপ্যমুদ্রা পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ মে) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কাকনহাটি গ্রামের মো. সবুজ মিয়ার বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জানা গেছে, সবুজের বাড়িতে নলকূপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন একদল শ্রমিক। কয়েক ফুট খোঁড়ার পর কিছু একটার টের পান ওই শ্রমিকরা। কৌতূহলবশত আরেকটু খুঁড়তেই মাটির হাঁড়ি ভাঙার শব্দ। পরে বেরিয়ে আসে মাটির হাঁড়িভর্তি রৌপ্যমুদ্রা। ঘটনাটি ‘গুপ্তধন উদ্ধার’ বলে এলাকায় জানাজানি হলে সবুজের বাড়িতে লোকজনের ভিড় জমে। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুদ্রাগুলো জব্দ করে। পরে তারা গণনা করে ৭৭টি রৌপ্যমুদ্রা থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া ওই সব মুদ্রার গায়ে খোদাই করে লেখা ছিল উর্দু ও আরবি ভাষা। প্রতিটি মুদ্রার ওজন প্রায় ১১ গ্রাম করে।
নলকূপ বসানোর কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক জানান, মাটি খনন করার সময় ছোট মাটির হাঁড়ির সঙ্গে খননযন্ত্রের কিছু একটার টের পান। কৌতূহলবশত আরেকটু খুঁড়তেই মাটির হাঁড়িটি দৃশ্যমান হয়। হাঁড়ি ওপরে তোলার পর অনেকগুলো রৌপ্যমুদ্রা পাওয়া যায়। মুদ্রাগুলো তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়ার পর এলাকায় জানাজানি হয়। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক সবুজ মিয়া বলেন, নলকূপ বসানোর কাজে শ্রমিকেরা মাটি খুঁড়তে গিয়ে হাঁড়িভর্তি রৌপ্যমুদ্রা পান। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে লোকজনের ভিড় ও পুলিশ দেখতে পান।
তিনি আরও বলেন, আমি গরিব হতে পারি, কিন্তু লোভী নই। আর উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলো সরকারের সম্পদ। সরকারি সম্পদের ওপর লোভ করা অপরাধ। তবে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রৌপ্যমুদ্রাগুলো উদ্ধার করেছে।