এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৫১ প্রতিষ্ঠানের ৩৭০ শিক্ষার্থীর কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে ৪২টি মাদ্রাসা। এ ছাড়া ঢাকা বোর্ডে তিনটি, রাজশাহীতে দুটি এবং দিনাজপুরে শতভাগ ফেল করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারটি। এমন ফলাফল নিয়ে সদুত্তর নেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১টি।
ঢাকা বোর্ড থেকে তিনটি, রাজশাহী থেকে দুটি ও দিনাজপুর থেকে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ এসএসসিতে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৪২টি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল শূন্য।
দিনাজপুরে চৌমুহনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এমপিও ভুক্ত হয় এবার। মানবিক বিভাগের চার জন মেয়ে এবং দুই জন ছেলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কৃতকার্য হয়নি একজনও।
দিনাজপুর চৌমুহনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস বানু বলেন, ‘এর আগে অন্য বিদ্যালয়ের হয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও এবারই প্রথম আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার সময় আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।’
পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একজনও পাস না করা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর স. ম আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, ‘ যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় আগে যেমন ব্যবস্থা নিয়েছিল এবারও তেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এবার নয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৫ জন এবং ৪২টি মাদ্রাসা থেকে ৩১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের একজনও উত্তীর্ণ না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকদের পাঠদান নিয়ে।