বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের মধ্যে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। পরে এক্সে করা এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিরর জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফাঁকে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও রনিল বিক্রমাসিংহের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সম্ভাব্য যাত্রীবাহী ফেরি পরিষেবা চালুর বিষয়ে আমাদের কথা বলেছি। বাংলাদেশের কৃষি পদ্ধতি জানতে শ্রীলঙ্কা থেকে সেখানে কৃষি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এই প্রথম যাত্রীবাহী ফেরি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও ভ্রমণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দ্য ইন্দো-সিলন এক্সপ্রেস ফেরি ছিল। শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। মাঝখানে প্রায় চার দশক বন্ধ থাকার পর গত বছর অক্টোবের তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম ও শ্রীলঙ্কার কানকেসান্তুরাইয়ের মধ্যে নতুন ফেরি চালু হয়।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এক্স বার্তায় আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি সেখানে আমার প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সন্তুোষ প্রকাশ করেন। নির্বাচনের পরে আমি বাংলাদেশ সফরের আশ্বাস দিয়েছি তাকে।’