মিষ্টি, রসালো এবং সুস্বাদু তালশাঁস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা তাল কেটে ভেতরের বাদামি আবরণ সরিয়ে স্বচ্ছ তালশাঁস বের করে আনতে হয়। এতে ক্যালরির মাত্রা কম, সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও দারুণ কার্যকরী এই ফল। গ্রীষ্মে পানিশূন্যতা এবং ক্লান্তি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তালশাঁস।
গরমে তাপের কারণে সৃষ্ট ত্বকের সমস্যা যেমন ফুসকুড়ি এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে খুব সহায়ক তালের শাঁস। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও কাজ করে। তবে তালশাঁস অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কারণ, তা পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ সোনালি সবেরওয়াল তার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন তালশাঁসের উপকারিতা নিয়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক–
প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখে
গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে কোল্ড ড্রিংকস বা আইসক্রিমের বদলে তালশাঁস বেছে নিন। কারণ, এটি আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা করতে কাজ করে। তালশাঁসের স্মুদি, পানীয়, ডেজার্ট এবং বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে আরাম পাবেন।
ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে
তালশাঁসে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম বেশি থাকে, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যকে ম্যারিনেট করে তীব্র তাপের কারণে সৃষ্ট ক্লান্তি রোধ করে। তাই এই গরমে নিয়মিত তালশাঁস খান।
পানিশূন্যতা রোধ করে
১০০ গ্রাম তালশাঁসে ৮৭ গ্রাম পানি থাকে, তাই প্রতিদিন তালশাঁস খেলে তা পানির একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এটি শরীরে পানি ধরে রাখতে কাজ করে এবং বাইরের তাপমাত্রা বেশি হলে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে।
খনিজ পদার্থের ভান্ডার
তালশাঁস জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়ামের মতো ট্রেস খনিজ সমৃদ্ধ। এটি আমাদের লিভারের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য বছরের এই সময়ে তালশাঁস যোগ করুন আপনার খাবারের তালিকায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
তালশাঁস গরমের সময়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি গরম আবহাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাক বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা সমাধানে তালশাঁস দুর্দান্ত কাজ করে।