টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ির তিনটি নদীর পানি বৃদ্ধি ও পাহাড় ধসের ঘটনা ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে জেলার সাপমারা নামক এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় চার ঘন্টা খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৯ মিনিটে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস লিডার মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ভোরে টানা ভারী বর্ষণের ফলে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা নামক এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, পাহাড়ের মাটি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে সড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে, টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে৷। ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা, লংগদু,বাঘাইছড়ি, সাজেক ও রাংগামাটি খাগড়াছড়ি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাবার কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে করে যাত্রী ও পর্যটকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সাজেকের সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হবার কারণে প্রায় ৭ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
এ ছাড়া জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওযার আশংকা রয়েছে।